বসতভিটার বিরোধের জেরে বড় ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করল ছোট ভাই

স্টাফ রিপোর্টার : কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বড় ভাই মো. ইলিয়াছকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে ছোট ভাই বাহার মিয়া। আজ বুধবার (২৬ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের চাঁন্দকরা মধ্যমপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইলিয়াস ওই গ্রামের মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামিল রেজা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে বড় ভাই মো. ইলিয়াছের সঙ্গে ছোট ভাই বাহার মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। বুধবার সন্ধ্যায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে দুই ভাই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে বাহার মিয়া ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে ইলিয়াছকে কুপিয়ে জখম করে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। তবে সেখানে নেওয়ার পথেই তিনি মারা যান।

নিহত ইলিয়াছের চাচাতো ভাই আবদুল মান্নান বলেন, ‘দুই ভাইয়ের মধ্যে বসতভিটার জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। বুধবার সন্ধ্যায় এ নিয়ে আবারও দুই ভাই ঝগড়ায় লিপ্ত হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে বাহার ধারালো দা দিয়ে বড় ভাই ইলিয়াছকে কুপিয়ে হত্যা করে।’  আব্দুল মান্নান আরও বলেন, ‘বাহার একজন মাদকাসক্ত।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল লতিফ বলেন, ‘অভিযুক্ত বাহার মাদকাসক্ত। বসতভিটার বিরোধকে কেন্দ্র করে মাদকাসক্ত বাহার প্রায়ই ইলিয়াছের ওপর হামলা করে। বুধবার সন্ধ্যায় বাহার আবারও ধারালো দা দিয়ে ইলিয়াছকে আঘাত করে।’

কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জামিল রেজা বলেন, ‘ইলিয়াছ নামের এক ব্যক্তিকে সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ ঘটিকায় আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। আমরা পরীক্ষা করে দেখি তিনি মারা গেছেন। তাঁর পিঠে একাধিক ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত রয়েছে।’

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ত্রিনাথ সাহা বলেন, ‘আব্দুল মান্নান নামে একজন নিজেকে ইলিয়াছের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইলিয়াছ নামে এক ব্যক্তিকে পূর্ব বিরোধের জের ধরে তাঁর ছোট ভাই বাহার কুপিয়ে হত্যা করেছে।’

আব্দুল মান্নান আরও জানান, ‘ইলিয়াছকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। আমরা এখনো ভিকটিমের লাশ বুঝে পাইনি।’

Related posts

Leave a Comment